টপ নিউজস্বাস্থ্য

ত্বকে ফোসকা পড়েছে? চিন্তার কিছু নেই

ত্বকের ওপর অনেক সময় ফোসকা বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। ফোসকার ভেতর সাধারণত পরিষ্কার তরল (সিরাম), কখনো রক্ত বা পুঁজ থাকে। নানা কারণে ত্বকে ফোসকা পড়তে পারে। কারণের ওপর নির্ভর করে ফোসকার ধরন ও উপসর্গ ভিন্ন হয়ে থাকে।

যে ফোসকা হয়, তাতে খুব চুলকানি হয়ে থাকে। রোদে পোড়ার কারণে যে ফোসকা হয়, তাতে চামড়ার ওপর বলিরেখা ও তামাটে ভাব দেখা দেয়। হারপিস জোস্টার, চিকেন পক্স ইত্যাদিতে ফোসকায় জ্বালাযন্ত্রণা হয় এবং এর সঙ্গে একটি খোসা দেখা দেয়, যা পরে খসে পড়ে।

চিকিৎসা
অনেক ফোসকা সাধারণত ওষুধ ছাড়া নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। যেসব পরিস্থিতিতে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তা হলো, ফোসকা পুঁজপূর্ণ হলে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকলে, অ্যালার্জি, আলোকসংবেদনশীল অথবা পুড়ে যাওয়ার কারণে ফোসকা মারাত্মক আকার ধারণ করলে, মুখের ভেতর বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক জায়গায় ফোসকা হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

চিকেন পক্স, হারপিস জোস্টার বা জ্বর ফোসকার জন্য অ্যান্টিভাইরাল দেওয়া যায়।

কর্টিকোস্টেরয়েডস ও ইমিউনিটি মডিউলেটিং ওষুধ অটোইমিউন রোগের কারণে হওয়া ফোসকায় ব্যবহৃত হয়।

প্রদাহনাশক ওষুধ ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়। অ্যালার্জিরোধী ওষুধ চুলকানি কমাতে ব্যবহার করা হয়।

ফোসকার অবস্থা মারাত্মক হলে এবং ত্বকে বিকৃতি সৃষ্টি হলে অস্ত্রোপচার ও ত্বক গ্রাফটিং করা প্রয়োজন; বিশেষত অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।

সতর্কতা
নিজে নিজে কোনো ফোসকা ফাটানো, সুই দিয়ে ছিদ্র করা ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ হতে পারে।

ফোসকা নিজে ফেটে তরল বের হয়ে গেলে এটিকে নরম ড্রেসিং বা আবরণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *