রাজনীতি কী এবং কেন? শীর্ষক আলোচনা সভাও ইফতার মাহফিল
অদ্য ২১ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকার সম য় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হাসেন হলে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও ‘‘রাজনীতি কী এবং কেন ? শীর্ষক আলোচনা সভা বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান আলোচক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক রেনেসার সাধক, সর্বজনীন গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির ত্বাত্ত্বিক ও প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন, কছুদিন ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তোলা হচ্ছে অধ্যাপক ড. ইউনূসের উপদেষ্টা মন্ডলীর পক্ষ থেকে। আসলেই আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। সংস্কার হতে পারে সর্বজনীন কল্যাণে। আবার তা হতে পারে উচ্চ শ্রেণীর লোকদের সুবিধার থেকে। আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই। সংস্কার সম্ভব হতে পারে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বারা গঠিত নির্বাচিত সরকারের দ্বারা। বাংলাদেশের জনমনে রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এখন কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। জনমনের এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এরজন্য দেশের বিবেকমান চিন্তাশীল লোকদের লিখতে হবে। উন্নত নতুন রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য উদীয়মান রাজনীতিদেরও লিখতে হবে— জনমতে জাগ্রত করার ও সংগ্রামী চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে। রাজনীতিকদের আত্মগঠনের অনুশীলনও দরকার। গতানুগতিক দ্বারার রাজনীতির দ্বারায় সংস্কার সম্ভব হবে না। নতুন রাজনীতি ও নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচার—আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে ধরনা ৬৯ দশকের শেষ দিক থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিকগুলোর ও রাজনীতিবিদদের এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে তাতে প্রকৃত পক্ষে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য খঁুজে পাওয়া যায়? বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এবং যারা জাতীয় সংসদ ও অন্যান্য পর্যায়ের বিপুল অর্থব্যয় করে নির্বাচনে জয়ী হন। তারপর জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ তাদের ক্ষমতা অপব্যাবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন সময়ে যে টাকা খরচ করেন তা নানা অবৈধ উপায় ওই টাকা তুলে নেন। তারপরে ব্যবসায়ের লাভের মতো অনেক বেশী আয় নানা অবৈধ উপয়ে আয় করেন। অনুসন্ধান করলে দেখা যায় ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিরাট অংকের টাকা আয় করেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিকেই তারা অর্থ আয়ের অবলম্ভন করে ফেলে। এই ধরনের রাজনীতিতে প্রকৃত পক্ষে কোন রাজনীতি থাকে না। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছে ব্যবসায়ের পঁুজির বিষয়ে। গণতন্ত্র বলি, সমাজতন্ত্র বলি, ধর্ম বলি সব ক্ষেত্রেই রাজনীতিকে ব্যবসায়ের অবলম্বনে পরিণত করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশে রাজনীতি নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি আজকে শূণ্যের কোঠায়। রাজনীতি বিলিন হয়ে গিয়েছে। যার ফলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মানুসের নৈতিক মূল্যবোধ অবক্ষয় হয়েছে। রাজনীতির ক্ষেত্রের রাজনীতিকে অবলম্বন করা হয়। তিনি আরো বলেন এ বাস্তবতার মধ্যে জনমনে রাজনীতি ও রাজনীতি নেতাদের প্রতি এবং প্রশাসন ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদির প্রতি সবস্তরে মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে রাজনীতিবিমুখ ও রাজনীতিবিরোধী মনোভাব। রাজনীতির নামে যে কর্মকান্ড চলে তার দ্বারা এদেশে কখনো রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে না। আমাদের রাষ্ট্র জাতি ও জনগণ কেবল প্রতারিত ও দূর্বল হবে।
বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী, শামীম ইসতিয়াক চৌধুরী, আরো বক্তব্য রাখেন, পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার ও কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক মহাসীন আলমগীর ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সঞ্চলনা করেন বাংলাদেশ গণমুক্তির পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব লেখক অমুল্য কুমার বৈদ্য।