অনলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শ ও সেবা
অনলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শ ও সেবা-
অনলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শ ও সেবা-আইডিয়াটি কেমন? বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় তিনটি অনলাইন সেবার একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা। ঘরে বসে স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ নেওয়া সব দেশে জনপ্রিয়। যুক্তরাস্ট্রের ১০ কোটি মানুষ প্রতিবছর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি, ফ্যামিলিডক্টরডটঅর্গ, হেলথফাইন্ডারডটগভ, সিএনএন হেলথে প্রবেশ করেন।
আমাদের দেশেও এমন কিছু ওয়েব পোর্টাল এ ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সব ধরণের তথ্য প্রদান, ডাক্তার ও সেবাদানকারীর দুর্ভোগ দূর করা এর লক্ষ্য।
এমন ওয়েব ভিত্তিক একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র চালু করতে পারেন আপনিও। পছন্দমতো স্বাস্থ্য সেবা জানার ও পাওয়ার প্রবেশাধিকার দিতে পারেন দেশের ও দেশের বাইরের মানুষকে। অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রথমে কিছু ফ্রি হেলথকেয়ার কোর্স সম্পন্ন করে নেওয়া ভাল।
সাইমনস অনলাইন মাস্টার অব পাবলিক হেলথ প্রোগ্রামের আওতায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও এমআইটির ৬৫টি ফ্রি কোর্স পাবেন http://mhadegree.org/free-online-healthcare-courses/-এ ঠিকানায়। কয়েকটি কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে প্রস্তত করে ফেলুন।
এবার সমৃদ্ধ করতে থাকুন ওয়েবসাইট। সেখানে ই-ডাক্তারের তালিকা প্রস্তত করুন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পুর্ণ তালিকা প্রয়োজনীয়। ভার্চুয়াল ডাক্তারসেবা চালু করুন।
ই-স্টোর চালু করতে পারেন। ডিরেক্টরিতে রাখুন এলাকাভিত্তিক ডাক্তারের তালিকা, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হেলথ কমপ্লেক্সের তালিকা। নির্ভরযোগ্য তথ্যভান্ডার গড়ে তুলুন ওয়েবসাইটে। সর্বশেষ হেলথ টিপস আপডেট করুন প্রতিদিন। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদও আপলোড করতে থাকুন। ওষুধের তথ্যাদি দিয়ে ইনডেক্স তৈরি করুন। ই-লাইব্রেরিতে রাখুন মেডিকেল বিষয়ক ই-বুক।
প্রাথমিক কাজ শেষ। এবার প্রচারনা চালানো শুরু করুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ান। স্ট্যাটাস দিতে থাকুন। সেবার ধরণ পরিস্কার করুন গ্রাহকের কাছে। ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করে নিতে পারেন- ক্রেতারা আকৃস্ট হবেন। মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
মার্কেটপ্লেসে ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের ঝামেলা পোহাতে হয় না। সেবার ধরন অনুযায়ী ওয়েবসাইটে খরচাপাতির হিসাব দিয়ে রাখুন। সময়, ফোন নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ করুন। ওয়েবসাইটে লগ অন সুযোগ রাখুন। সেবাপ্রার্থীরা যেন সহজে সেখানে প্রবেশ করতে পারেন, সেবা পেতে পারেন। অগ্রিম অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সেবাও চালু করতে পারেন।
অনলাইনের সঙ্গে সঙ্গে চলবে অফলাইন মার্কেটিংও। এ প্রসঙ্গে প্রথমে আসে লিফলেট অথবা হ্যান্ডবিলের কথা। জনসমাগম বেশি হয় এমন স্থানে পোস্টারিং করুন। নাম, ফোন নাম্বার, ইমেইল ও ওয়েব ঠিকানার পাশাপাশি সেবা সম্পর্কে একটা ধারণা জুড়ে দিন পোস্টারে। বিজনেস কার্ড তৈরি করুন। স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আপনার অনলাইন সেবা সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেয়ার চেস্টা করুন। অন্যান্য বড় ও প্রচলিত চিকিৎসাকেন্দ্রে না গিয়ে কেন গ্রাহকেরা আপনার সেবা নেবেন, সে সম্পর্কে ধারণা দেন।