আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে একপেশে চ্যাম্পিয়ন কলকাতা
কলকাতা করে দেখাল, আইপিএলের শিরোপাও জিতে নিল। তবে ফাইনালে সেভাবে লড়াই করতে হলো না তাদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে ফাইনাল জমাতেই পারল না!
অথচ আইপিএলে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড এই মৌসুমেই গড়েছিল সানরাইজার্স, যা স্বীকৃত ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি লিগেও সর্বোচ্চ।
মৌসুমজুড়ে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে একের পর এক রেকর্ড ভাঙা–গড়ার খেলায় মেতেছিল তারা। দলটির নামটাই হয়ে গিয়েছিল ‘রানরাইজার্স’। সেই দলটিই কি না আজ আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে একপেশে ফাইনাল উপহার দিল!
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে কলকাতার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে গেল হায়দরাবাদ, যা এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১৭ ফাইনালের মধ্যে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ তো বটেই। ফাইনালে কোনো দলের প্রথমবার অলআউট হওয়ার ঘটনাও। ১১৪ রানের ‘মামুলি’ লক্ষ্যটা কলকাতা ছুঁয়ে ফেলল ৫৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে, চ্যাম্পিয়ন হলো ১০ বছর পর।
বলিউড কিংবদন্তি শাহরুখ খানের দলের এটি তৃতীয় আইপিএল শিরোপা। এর আগের দুটি জিতেছিল ২০১২ ও ২০১৪ সালে। দলটির তিনটি শিরোপা জয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকলেন গৌতম গম্ভীর; আগের দুবার অধিনায়ক হিসেবে, এবার পরামর্শকের ভূমিকায়।
চেন্নাইয়ে ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ না থাকায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের মতো ফাইনালেও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু কলকাতার বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৮.৩ ওভারে ১১৩ অলআউট
(কামিন্স ২৪, মার্করাম ২০, ক্লাসেন ১৬, রেড্ডি ১৩; রাসেল ৩/১৯, স্টার্ক ২/১৪, হর্ষিত ২/২৪, বরুণ ১/৯, নারাইন ১/১৬, অরোরা ১/২৪)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১০.৩ ওভারে ১১৪/২
(ভেঙ্কটেশ ৫২, গুরবাজ ৩৯, শ্রেয়াস ৬, নারাইন ৬; কামিন্স ১/১৮, শাহবাজ ১/২২)
ফল: কলকাতা নাইট রাইডার্স ৮ উইকেট জয়ী।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল: মিচেল স্টার্ক (কলকাতা নাইট রাইডার্স)।
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: সুনীল নারাইন (কলকাতা নাইট রাইডার্স)।