জাতীয় ক্রিকেট লিগে যোগ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি
খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারেন না বলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। এবারের টি-টোয়েন্টি আইপিএলের পাশাপাশি ভারতে আছে সৈয়দ মুশতাক আলী টুর্নামেন্ট, পাকিস্তানে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি। এসব টুর্নামেন্ট তাদের ক্রিকেট সূচিরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ বাংলাদেশে শুধুই বিপিএল!
তবে এবার হয়তো এই সমস্যা কিছুটা দূর হবে। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি জাতীয় ক্রিকেট লিগের সঙ্গে প্রতিবছর একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনেরও পরিকল্পনা করছে।
প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী ৮ দল নিয়ে ২৯ ম্যাচের ‘জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি’ টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে ৭টি করে, দুই ফাইনালিস্ট দল পাবে ৮টি করে ম্যাচ।
টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ম্যাচ ফি ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম জানিয়েছেন, ২১ মে কমিটির এক সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগে প্রতিবছরের মতো এবারও অক্টোবরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আসর জাতীয় লিগ দিয়ে ঘরোয়া মৌসুম শুরু হবে। চার দিনের প্রতিযোগিতা শেষে শুরু হবে ২০ ওভারের জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি।
রবিন লিগে ফিরে যাওয়া এবারের জাতীয় লিগে থাকবে না ২০১৫-১৬ মৌসুমে শুরু হওয়া দ্বিস্তর পদ্ধতি। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ছাড়াও নতুন যোগ হচ্ছে ক্রিকেটার ধরে রাখা ও প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দল সাজানোর নিয়ম। প্রতিটি দল ৮ জন করে পুরোনো ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে, বাকি ৬ জনকে দলে নিতে হবে ড্রাফটের মাধ্যমে। চার দিনের ম্যাচের আসর ও টি-টোয়েন্টি—জাতীয় লিগের দুটি টুর্নামেন্টের দলই হবে এই পদ্ধতিতে।