ডলারের ক্রলিং পেগ কী
বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। ক্রলিং অর্থ হামাগুড়ি দেওয়া।
বাংলা করলে হয়, এখন থেকে দেশের মধ্যে ডলারের দর লাফ দিতে পারবে না, কেবল হামাগুড়ি দিতে পারবে। আর সেই হামাগুড়ি দিতে হবে নির্দিষ্ট একটি সীমার মধ্যে। অর্আৎ সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না।
সীমাটা কী? আপাতত সেই সীমা হচ্ছে ১১৭ টাকা। এর নাম হচ্ছে ক্রলিং পেগ মিড-রেট বা মধ্যদর। ডলারের বিনিময়মূল্য এর আশপাশেই থাকতে হবে।
গত প্রায় আড়াই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন বা লাফ দেওয়ার হার ৩৬ শতাংশ। আরও বেশি লাফ দেওয়া ঠেকাতেই নতুন এই ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি।
ক্রলিং পেগ আসলে স্থির বিনিময় হারেরই আরেকটি রূপ। অর্থাৎ বিনিময় হার স্থির করা আছে, সেই স্থির করা হারের আশপাশে ডলার বিনিময় করতে হবে সব পক্ষকে।
এই যে মধ্যদর ১১৭ টাকা, এটি বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় বদল করতে পারবে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর তা নির্ভর করবে।
সাধারণত, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, বিনিময় হার অস্থিতিশীল হওয়ার প্রবণতা থাকলে এবং মূল্যস্ফীতি উচ্চ হারে থাকলে কোনো দেশ ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অনুসরণ করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই এই পদ্ধতি বেশি দেখা যায়।