ডে কেয়ার ব্যবসা শুরু করতে
বাংলাদেশে নতুন হলেও বেশ পরিচত ডে কেয়ার ধারণাটি। দেশের বাইরে এটি লাভজনক একটি ব্যবসাও বটে। ডে কেয়ার বলতে সাধারণত শিশুদের অভিভাবক ছাড়াও অন্য কোনো ব্যক্তি দ্বারা শিশুর যত্ন নেওয়া।
যত্ন নেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণত শিশুর পরিবারের বাইরের কেউ হয়ে থাকেন। যারা বেকার ও শিশুপ্রিয় তারা ডে কেয়ারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে অনেক অভিভাবককে কর্মস্থলের প্রয়োজন দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটাতে হয়। ফলে তারা সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। তাদের এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডে কেয়ার চালু করতে পারেন। পুরুষদের তুলনায় নারীরা এ ব্যবসায় দ্রুত উন্নতি করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করার জন্য তেমন বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। একটি ডে কেয়ার সেন্টার শুরুর জন্য প্রথমেই একটি উপযুক্ত নিরাপদ ঠিকানা নির্ধারণ করতে হবে। চাইলে নিজ বাড়িতে চালু করতে পারেন। এরপর ঘুমানো, খেলাধুলা ও পড়াশোনার জায়গা ভাগ করে নিয়ে ডেকোরেশন করতে হবে। এসব জায়গায় শিশুদের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন শিশুরা খেলতে পছন্দ করে এমন খেলনা, বই প্রভৃতি কিনে সাজিয়ে রাখতে হবে। নিজ বাড়িতে করতে পারলে কম পুঁজিতেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
মূলত শিশুদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড ও তার ভালোমন্দ দিকগুলো বুঝে ও জেনে এ কাজটি শুরু করা যেতে পারে। সেবাধর্মী এ ব্যবসায় উদ্যোগটি নিতে পারলে পরিশ্রমী উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবেন নিঃসন্দেহে। তবে কিছু বিষয়ে সচেতনতা থাকতে হবে। ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের যত্নের ব্যাপারে অভিভাবকরা যাতে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন সেজন্য তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। খাওয়ানো ও পড়ানোর পাশাপাশি তাদের আচার-আচরণ, বিদ্যালয়, বাড়ির কাজ প্রভৃতি শেখানো ডে কেয়ার থেকে নিশ্চিত করতে হবে।
ডে কেয়ার পরিচালনার ধারণা থাকলে ব্যবসাটি চালু করতে পারেন। এটি একটি সৃজনশীল ও সেবামূলক ব্যবসা। ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করে অল্প বিনিয়োগে বহু সেবামূলক কাজ করা যায়। নার্স ও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করে একাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন।