দেশে ৪০% পুরুষ ও ২৪% নারী ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন
মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) জানিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোয় মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে নারী-পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে এ ব্যবধান ৪০ শতাংশ, ভারতে ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় আট শতাংশ।
চলতি মাসে প্রকাশিত জিএসএমএ’র ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১২টি দেশ-মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী ফোনের মালিক। বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ নারী ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন, কিন্তু ব্যবহার করেন না। বাংলদেশের ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ নারী ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এ হার ভারতে ৫৩ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৯ শতাংশ ও ৬৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৩ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ।
ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে জানেন দেশের ৩৭ শতাংশ পুরুষ। নারীর মধ্যে এ হার ২১ শতাংশ। বাংলাদেশে পুরুষের ৫৫ শতাংশ ও নারীর ৪৫ শতাংশ অনলাইনে খবর পড়েন। পুরুষের ২৩ ও নারীর ১২ শতাংশ চাকরি ও ব্যবসা-সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে খোঁজেন। তবে কৃষিসংক্রান্ত তথ্য খোঁজায় ইন্টারনেট সবচেয়ে কম ব্যবহূত হয়।
জিএসএমএ বলছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে নেতিবাচক ঘটনার শিকার হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি অভিযোগ করেন। অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে দক্ষ, এমন পুরুষ দেশে ৭৪ শতাংশ ও নারী ৬৫ শতাংশ।
জিএসএমএ বলছে, দেশে ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীর ৫৩ শতাংশ ও পুরুষের ৪৬ শতাংশের আরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী ও ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডেটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন।