প্রস্রাবের ইনফেকশন আর নয়
মুত্রনালী, মুত্রথলি, প্রোস্টেট গ্রন্থি এবং কিডনির ইনফেকশনই প্রস্রাবের ইনফেকশন। ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে, যাতে আক্রান্ত হন নারী ও পুরুষ উভয়ই। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের আক্রান্তের হার একটু বেশিই।
কেন হয়
★ অপরিচ্ছন্ন থাকা। একই কাপড় (বিশেষ করে অন্তর্বাস বা জাঙ্গিয়া) না ধুয়ে দীর্ঘদিন পরিধান করা
★ প্রস্রাব, পায়খানার পর ভালোভাবে পরিষ্কার না করা
★ প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখা
★ ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি বেশি
★ শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায়, তাদের ঝুঁকি বেশি
★ যৌনাঙ্গে স্প্রে, জেল, পাউডার ইত্যাদি ব্যবহার করলে
★ এ ছাড়া যাদের আগে ইনফেকশন হয়েছিল, তাদের পুনরায় ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়েছে।
লক্ষণগুলো
★ প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা
★ তলপেট বা কুঁচকিতে ব্যথা
★ ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
★ প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত রক্ত যাওয়া।
ইনফেকশন কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তাকে পাইলোনেফ্রাইটিস বলে। এতে জ্বর বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। এ ছাড়া, তলপেট, কোমড় ও কোমড়ের দুইপাশে ব্যথা হতে পারে।
চিকিৎসা
★ ব্যাকটেরিয়ার কারণে এ ইনফেকশন, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনকে সর্বোত্তম পন্থা মনে করা হয়
★ পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে
★ আটকে না রেখে প্রস্রাব করা
★ প্রস্রাব ও পায়খানার পর ভালোভাবে পরিষ্কার করা। আগে প্রস্রাবের রাস্তা পরিষ্কার করা, তারপর পায়খানার রাস্তা
★ পায়খানার রাস্তা পরিষ্কার করার পর যদি প্রস্রাবের রাস্তায় হাত দিতে হয়, তবে আগে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া
★ সহবাসের পর প্রস্রাব করা ও যৌনাঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার করা
★ নিম্নাঙ্গে স্প্রে, জেল, পাউডার ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করা
★ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।