যেভাবে কাজ করে আবহাওয়া অ্যাপ
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি দেখার জন্য অনেকে বিভিন্ন অবহাওয়াবিষয়ক অ্যাপ ব্যবহার করেন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য গতি জানানোর পাশাপাশি গতিপথও প্রায় নির্ভুলভাবে জানিয়েছে আবহাওয়াবিষয়ক অ্যাপগুলো।
ঘূর্ণিঝড়সহ আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য কীভাবে প্রায় নির্ভুলভাবে অ্যাপগুলো জানাতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। আবহাওয়াবিষয়ক অ্যাপগুলোতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও কাজের ধরন জেনে নেওয়া যাক।
যেভাবে কাজ করে আবহাওয়া অ্যাপ
বর্তমানে এক শর বেশি ভাষায় বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার তথ্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাকুওয়েদার। এ জন্য নিজেদের বিশাল তথ্যভান্ডার ব্যবহারের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় এক হাজারের বেশি স্থান থেকে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির তৈরি অ্যাকুওয়েদার অ্যাপ যেকোনো স্থানের এক থেকে পাঁচ দিনের তাপমাত্রা, আর্দ্রতার পরিমাণ, বাতাসের গতিবেগের প্রায় নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারে। স্যাটেলাইট ও ভূপৃষ্ঠের রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে অ্যাকুওয়েদার। সেই তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যালগরিদম ও আবহওয়াবিদদের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করা হয়।
অ্যাকুওয়েদারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন স্মিথ জানিয়েছেন, আবহাওয়াবিষয়ক অ্যাপগুলো এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারদর্শী হয়ে উঠেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার মডেলগুলোও এখন অনেক বেশি নির্ভুল হয়ে উঠেছে। আর তাই অ্যাপগুলো বর্তমানে তাৎক্ষণিকভাবে আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য জানাতে পারে।
অ্যাকুওয়েদার ১৯৬২ সাল থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে আসছে। অ্যাকুওয়েদারের প্রধান লক্ষ্য হলো জীবন বাঁচানো ও সম্পত্তি রক্ষা করা।