সোনার বাংলা পার্টি ‘র পার্টি ‘র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত মিরাজুল ইসলাম আব্বাসী’র মৃত্যুদিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তারা : মিরাজুল ইসলাম আব্বাসী একজন শতভাগ দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন।
দলভিত্তিক আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব বেশি – অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, বাংলা একাডেমির সভাপতি সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন- আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সরকার গঠন করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য এই পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া সর্বদলীয় সরকার গঠনে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, নিঃরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ায় পড়ে বাংলাদেশের রাজনীতির এখন যে দশা,তাতে এর মৌলিক পুনর্গঠন দরকার। রাজনীতিতে এখন আর রাজনীতি নেই, আছে কেবল নগ্ন ক্ষমতার লড়াই। গণতন্ত্র এখন নির্বাচনতন্ত্র। ক্ষমতা দখল করা হয় সম্পত্তি অর্জনের উদ্দেশ্যে।রাজনীতি পরিনত হয়েছে নোংরা ব্যবসায়। সর্বজনীন কল্যানে ব্যক্তি,সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তনে উক্ত সোনার বাংলা পার্টি ‘র আটাশ দফা কর্মসূচি।
সোনার বাংলা পার্টি ‘র প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন -অর-রশীদ৷ এর পরিচালনায় এবং পার্টি ‘র সভাপতি শেখ আব্দুন নুর – এর সভাপতিত্বে সোনার বাংলা পার্টি ‘র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত মিরাজুল ইসলাম আব্বাসী’র মৃত্যুদিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা ও পার্টি ‘র প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন,
বিশেষ আলোচক সাইফুল হক বলেন, উচ্চ কক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন হলে ভালো ফলাফল বয়ে আনবে। তিনি বলেন পদ্ধতি হতে পারে সংবিধান সভার নির্বাচন। রাজনৈতিক দলের সমর্থন আছে বলেই এই সরকার ক্ষমতায় আছে।
৯ বছরের স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছে তারা কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে চায়নি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। সরকারের মধ্যে অনেকগুলি সরকার। সাবেক রাষ্ট্রপতি আঃ হামিদকে দেশ ত্যাগে কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না।
বিশেষ অতিথি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন একই সাথে করতে হবে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান বৃথা দিতে পারি না। অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে, আমাদের পাহারা দিতে হবে।
তাসমিন রানা: সংবিধান সংশোধন করতে হবে সবার আগে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন : মীরাজ ভাই এর সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিল। ছাত্র লীগ ( আজিজ - মীরাজ) হুজুগে বাঙাল ছিল না। বুঝেশুনে মিরাজ রাজনীতি করতেন। তিনি মনে করতেন, এই কাজটা আমাকেই করতে হবে। তাই সে নিজের বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে ছাত্র রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতি করতেন।
প্রধান বক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা কেন যুদ্ধ করেছি, তা হলো সাম্য, মানবিক মর্যদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য । তিনও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এর সমালোচনা করেন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন এবং সমর্থন করেছেন। ফ্যাসিজমের উত্থান কিভাবে হলো? আমরা ১৯৭১ এ শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলাম। এবারের গণ-অভ্যুত্থানের চিত্র ভিন্ন। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। গ্রাফিতি যেন কেউ মুছে না ফেলে, এটা আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের দলিল। ৯৮% মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটভূয়া, জনগণের রাষ্ট্র কর্মচারী দিয়ে চালানো হয়। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের জন্য সঠিক। লুটপাট ও খুনের বিচার হতেই হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ আব্দুন নুর বলেন, রাজনীতি যেন ব্যবসায়ে পরিনত না হয়। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা আমরা সোনার বাংলা পার্টি গঠন করার পর থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
সোনার বাংলা পার্টি ‘র স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকার সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন পলাস, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ‘র সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, জাতীয় নাগরিক পার্টি ‘র উত্তরাঞ্চলের সংগঠক ইমরান ইমন, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি ‘র মহাসচিব মোঃ মানসুর সিকদার, গণমুক্তি পার্টি ‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনেম , সমাজ চিন্তা ফোরামের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাদল, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের পক্ষে জালাল উদ্দীন আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টি ‘র সহসভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন, সোনার বাংলা পার্টি’র প্রচার সম্পাদক সোলাইমান চৌধুরী, সোনার বাংলা পার্টি ‘র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ ফজলুল হক প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন মহিলা সাংগঠনিক সম্পাদক রেহেনা পারভিন, সাবেক এম. পি ও জাগরনি শান্তি সংঘের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি আবদুল জলিল, মুসলিম ঐক্যজোটের সভাপতি, অলক চৌধুরী, সোনার বাংলা পার্টি ‘র প্রতিনিধি আবু রায়হান জীবন, শেরপুর জেলার প্রতিনিধি মোঃ কামরুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের জেলার প্রতিনিধি খঃ নাজমুল হক স্বপন, সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি মন্জুরুল ইসলাম, জামালপুর জেলার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী, গাজীপুর জেলার প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম, মহসিন মিয়া, টঙ্গী থানা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন মিন্টু, ডেমরা থানা কমিটির সভাপতি ও প্রতিনিধি মোঃ খোরশেদ আলম প্রমূখ।
আলোচনা সভার ২য় পর্বের প্রতিনিধি সভায় বর্তমান সভাপতি শেখ আব্দুন নুর, সোনার বাংলা পার্টি ‘র প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন -অর-রশীদকে সভাপতি ঘোষণা করে আগামী ১ মাসের মধ্যে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি করার প্রস্তাব করেশন এবং শেখ আব্দুন নুর স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে উপদেষ্টা কমিটিতে কাজ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলের সফলতা অর্জনেও কাজ করবেন।