হোগলা পাতায় শিল্পকর্ম
হোগলা পাতা দিয়ে নানা ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়। এ থেকে পরিবেশ উপযোগী পণ্য উৎপাদন হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশিদের ব্যবহার্য উপকরণ হিসেবেও সমাদৃত হচ্ছে হোগলা পাতার পণ্য।
হোগলা পাতার তৈরি ছোট বিছানা, নামাজের মাদুর, খাদ্যশস্য রোদে শুকানো, কুশন, ঝুড়ি, টুপি, ছোট ব্যাগ, ঘরের নানা ধরনের ওয়ালম্যাট, ফ্লোর ম্যাট, লন্ড্রি বাস্কেট, হাতপাখা প্রভৃতি পণ্য তৈরি করতে পারেন আপনিও। কেননা এ ব্যবসার রয়েছে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তৈরি পণ্যের আকর্ষণও বেশি হওয়ায় বিক্রি বেশি হয়।
জনবল ও উপকরণ
হোগলা পাতা দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরির জন্য তেমন কোনো উপাদানের প্রয়োজন পড়ে না। তাই কম খরচেই আকর্ষণীয় বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে সহজে বাজারজাত করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় জনবলের জন্য এ শিল্পের সঙ্গে নারীদের সম্পৃক্ত করতে পারেন।
এ ব্যবসার শুরুতে হোগলা পাতা কিনে নিতে হবে, যা অল্প দামে কেনা যায়। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার একটি বড় অংশের জীবন ও জীবিকা হোগলা পাতার ওপর নির্ভরশীল। এজন্য উৎপাদন পর্যায়ে হোগলাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করা ভালো। অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পণ্য তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই যাত্রা শুরু করা যায়।
হোগলা পাতার চাটাই মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কোরবানির পশু জবাই করার পর মাংস কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় মৃত ব্যক্তির দেহ মোড়ানোর কাজে। মন্দির ও গির্জায় হোগলা পাতার চাটাই ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া নতুন দালান নির্মাণ ও ছাদ ঢালাইয়ের সময় ব্যবহার করা হয়। ঘরের শোভাবর্ধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন নকশাখচিত চাটাই ব্যবহার করা হয়। গ্রামাঞ্চলে উনুনের ধোঁয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরে সিলিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বড় বড় প্রতিষ্ঠান হোগলা দিয়ে তৈরি নানা ধরনের সেট ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ এর বিশাল বাজার রয়েছে। কাজেই শুরু করে দিন এ ব্যবসা।