এয়ারড্রপ কি? এয়ারড্রপ থেকে মাসে হাজার ডলার ইনকামের সুযোগ!
এয়ারড্রপ হচ্ছে কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া ফ্রিতে কাজ করে মাসে একটি ভালো এমাউন্ট আয়ের মাধ্যম। এয়ারড্রপ এ কাজ করে অনেকে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার উপার্জন করছে। আজকের এ পোস্টে এয়ারড্রপে কিভাবে কাজ করতে হবে তার বিস্তারিত জানবো।
এয়ারড্রপ কি? তা জানার পূর্বে আমাদের অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানতে হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি অনলাইনে ব্যবহৃত ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা। যা শুধু অনলাইনেই লেনদেন করা যায়। বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ডলারে কনভার্ট করে অর্থ উত্তোলন করা যায়। বর্তমানে অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লাইটকয়েন, ডগিকয়েন, রিপল ইত্যাদি এর মধ্যে অন্যতম। এগুলো জনপ্রিয় কারেন্সি।
অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেমেন্ট প্রসেসর হিসেবে অনেক জনপ্রিয়। এই কারেন্সি গেটওয়ে দিয়ে আমরা বিভিন্ন ফ্রিলেন্সিং সাইট থেকে পেমেন্ট নিয়ে থাকি বা বিভিন্ন প্রডাক্ট বা সার্ভিস কিনতে ব্যবহার করে থাকি।
এবার আসা যাক এয়ারড্রপ সম্পর্কে
এয়ারড্রপ কি?
এয়ারড্রপ হচ্ছে ক্রিপ্টো টোকেন। প্রতি নিয়ত বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি অনলাইনে লঞ্চ হচ্ছে। নতুন লঞ্চ হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির কিছু সোশ্যাল প্রমোটের কাজ করার বিনিময়ে আমরা ‘এয়ারড্রপ’ বা ‘ফ্রি ক্রিপ্টো টোকেন’ পেয়ে থাকি। এবং যখন কারেন্সিগুলোকে এক্সচেঞ্জারে লিস্ট হয় তখন আমরা তা বিক্রি করে ডলার বা টাকায় কনভার্ট করতে পারি। অর্থাৎ বিকাশ কিংবা ব্যাংকে নিতে পারি।
নতুন লঞ্চ হওয়া ক্রিপটোকারেন্সি গুলোর লক্ষ্য থাকে তাদের কারেন্সির প্রচার করা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের কারেন্সির সুনাম গড়ে তোলা এবং ইনভেস্টরদের কাছে টোকেনগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলা। মূলত সোশ্যাল প্রমোটের জন্য নির্দিষ্ট এমাউন্টের টোকেন ফ্রিতে দিয়ে থাকে।
এয়ারড্রপে কিভাবে জয়েন হতে হয় বা কাজ করতে হয়?
ক্রিপ্টোকারেন্সি এয়ারড্রপে কাজ করতে হলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল একাউন্ট এবং ক্রিপ্টো ওয়ালেটের (পেমেন্ট গ্রহণের জন্য) প্রয়োজন হবে। এয়ারড্রপে কাজ করতে কি কি প্রয়োজন হবে তা নিচে দেয়া হলো-
- ই-মেইল
- ফেসবুক একাউন্ট
- টুইটার একাউন্ট
- টেলিগ্রাম একাউন্ট
এয়ারড্রপে কাজ করতে হলে উপরের একাউন্টগুলো অবশ্যই থাকতে হবে। কখনো কখনো অন্যান্য কিছু সোশ্যাল সাইটে ফলো করতে বলা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সাইটেও একাউন্ট করে নিতে হবে।
এয়ারড্রপের কাজ হচ্ছে নতুন লঞ্চ হওয়া কারেন্সির ওয়েবসাইটে সাইন আপ করে তাদের সোশ্যাল একাউন্টগুলো ফলো, শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় হতে সাহায্য করা।
নির্দিষ্ট সময় শেষে টোকেন রিসিভ করার জন্য দরকার হবে একটি Crypto wallet। ক্রিপ্টো ওয়ালেট হিসেবে Binance, Trust wallet বা My Ether Wallet ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্রিপ্টো কারেন্সি কোম্পানির মেইন সেল যখন শেষ হয় তখন তারা এয়ারড্রপ ওয়ার্কারদের টোকেন, কারেন্সি বা ডলার ডিস্টিবিউট করে থাকে। এয়ারড্রপে জয়েন হওয়ার পর আপনার ওয়ালেটে টোকেন, ডলার বা কারেন্সি আসতে ২০ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
প্রতিদিনই কমপক্ষে ৫ থেকে ১০-এর অধিক ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রজেক্ট লঞ্চ হয়। অর্থাৎ আপনাকে প্রতিদিন ৫-১০টা ক্রিপ্টো কারেন্সি কোম্পানির এয়ারড্রপে জয়েন করে তাদের দেয়া সোশ্যাল প্রমোটগুলো করতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে, সব ক্রিপ্টো কারেন্সি কোম্পানি টোকেন/ডলার/কারেন্সি পেমেন্ট করে না। এর মধ্যে কিছু ফেক কোম্পানি রয়েছে। তাই সকল এয়ারড্রপেই জয়েন হয়ে ফলো করার কাজ করে রাখতে হবে। এয়ারড্রপে কাজ করলে ২/১ কোম্পানি স্ক্যাম করবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
Good job
I am a new user and i join hear.. . help need anything please.
Join our telegram channel & follow instruction
https://t.me/FreeAirdropCollect