টপ নিউজস্বাস্থ্য

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে জরুরি নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ২৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। যদিও এর অর্ধেকই জানেন না তিনি এই রোগে আক্রান্ত। তবে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এক গণমুখী সেমিনারে এসব কথা উঠে এসেছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক।

এ সময় আলোচকেরা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপ একটি নিরব ঘাতক। আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকে। তবে এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগই জানেন না যে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।’

তারা আরো বলেন, ‘হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটি অন্যতম এবং মারাত্মক ঝুঁকি। এ জন্য উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপজনিত নানা রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য জনগণ এবং চিকিৎসকসহ সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন।’

আলোচকেরা বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা প্রয়োজন।’

সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার তিন শতাধিক মানুষ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত হয়। এ বছর ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়েছে। তবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে গণমুখী সেমিনার, বৈজ্ঞানিক সেমিনার, দেশব্যাপী বিনামূল্যে রক্তচাপ পরিমাপ, গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানমালা, সচেতনতামূলক পোষ্টার ও লিফলেট প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে ফাউন্ডেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *