অনলাইনে গ্রোসারি শপ
বিভিন্ন সেবা বা পণ্য বিক্রি করে বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করেন অনেকে। এ ব্যবসা যদি মানুষের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাজে আসে, তাহলে তা সার্থক বলা যায়। অনেকে পড়ালেখা কিংবা চাকরির পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি খোঁজেন। আবার অনেকে চাকরির পরিবর্তে ব্যবসার উদ্যোগ নেন। এমন মানুষরা অনলাইনে গ্রোসারি শপ চালু করতে পারেন।
অনলাইন গ্রোসারি শপ হচ্ছে মুদিসামগ্রী বিতরণের ব্যবসা। এর মাধ্যমে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় পণ্যটি ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব। অনেক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে তারা বাজার করার সময় পান না। সেক্ষেত্রে তারা অনলাইনে বাজার করতে আগ্রহী থাকেন। এসব ক্রেতার চাহিদা বিবেচনায় আপনি অনলাইন গ্রোসারি শপ চালু করতে পারেন। ব্যবসাটি স্থানীয় বাজারে দোকান দিয়ে শুরু করলে শুধু স্থানীয় ক্রেতা পাওয়া যাবে। তবে অনলাইনে হলে পুরো শহরের ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।
এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চালডাল ডটকম, সবজিবাজার ডটকম, মিনাবাজারের অনলাইন শপ প্রভৃতি। ক্রেতার কাছে গুণগত মানে সেরা পণ্য পৌঁছে দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এদের ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার দেওয়া যায়। কৃষকের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করে সেরা মান ও কেমিক্যালমুক্ত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করছে তারা।
রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোনো কারণে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে মানুষ ঘর থেকে সাধারণত বের হয় না। তখন অনেকেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইনে সেরে নিতে চান। বাংলাদেশের অনলাইন গ্রোসারি শপগুলোর ওয়েবসাইটে গিয়ে পণ্যের দামদর দেখে অর্ডার দেওয়া যায়। পণ্য বাছাইয়ের পদ্ধতিও ঝামেলামুক্ত। পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সময় মূল্য পরিশোধ করা যায়। একই সঙ্গে বিকাশ, ডেবিট কার্ড প্রভৃতি ব্যবহার করেও অর্থ পরিশোধ করা যায়।
উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় আপনিও অনলাইনে গ্রোসারি শপ চালু করতে পারেন। প্রথমে নির্ধারণ করুন কোন কোন পণ্য পাওয়া যাবে আপনার প্রতিষ্ঠানে। পরে পণ্যের তালিকা অনুযায়ী দেশের বড় পাইকারি বাজারের দোকানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। তাদের কাছ থেকে যেন যথাসময়ে পণ্য কিনতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুন্দর একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে। এ ওয়েবসাইটে উল্লেখ করুন কোন ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে। কেনার উপায় কী? দাম কেমন? ডেলিভারিম্যান নিয়োগ দিতে হবে। তারা যেন দ্রুত গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।