বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে
বিশ্বে মে মাসে খাদ্যপণ্যের দাম টানা তিন মাস ধরে বাড়ছে। বিশেষ করে সিরিয়াল ও ডেইরি বা দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে। মূলত চিনি ও ভেজিটেবল তেলের অপ্রতুলতার কারণে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাওয়ের মূল্যসূচক অনুযায়ী, মে মাসে খাদ্যপণ্যের দাম ১২০ দশমিক ৪ পয়েন্ট হয়েছে, যা এপ্রিলের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তবে গত বছরের মে মাসের তুলনায় তা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
ফাও সূচকে দেখা গেছে, গত তিন বছরের মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড কমে যায়। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। মূল্যত ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্যের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পায়।
মাস ভিত্তিতে মে মাসে সিরিয়াল পণ্যের দাম ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আমেরিকার উত্তরাঞ্চল, ইউরোপ ও কৃষ্ণসাগরসংলগ্ন অঞ্চলের এই পণ্যের ব্যাপক উৎপাদন হয়, তবে ২০২৪ সালে এসব অঞ্চলের উৎপাদন কম হয়েছে। একে দামি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলা হচ্ছে।
এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে এ ধরনের পণ্যের চাহিদা কমেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন কম হবে।
ফাওয়ের মে মাসের চিনি সূচকে ব্যাপক পতন দেখা গেছে। মাস ভিত্তিতে এ সময়ে সূচকটি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। ভেজিটেবল অয়েলের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমলেও পাম তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফাও সতর্ক করে বলেছে, চলতি বছরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের দেশগুলোয় গমের উৎপাদন কম হবে। তবে পূর্বাভাসের সঙ্গে উৎপাদনের মিল এখনও পাওয়া যায়নি বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এদিকে ২০২৪-২৫ সময়ে বার্ষিক ভিত্তিতে সিরিয়াল পণ্যের ব্যবহার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে।